পোল্যান্ডের বিপক্ষে গোল করে ইতিহাস গড়েছেন ফ্রান্সের অলিভার জিরুদ। প্রথমার্ধে এক গোল করে দলটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার খাতায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। থিয়েরি অঁরিকে ছাড়িয়ে তিনি এখন ৫২ গোলের মালিক। অঁরি ফ্রান্সের হয়ে করেছেন ৫১ গোল।

৫২ গোল করতে জিরুদের লেগেছে ১১৭ ম্যাচ। অঁরি ৫১ গোল করেছেন ১২৩ ম্যাচে। ফ্রান্সের ইতিহাসে ৫০টির বেশি গোল করেছেন এই দুজনই। ৫০টির কম কিন্তু ৪০টির বেশি গোল আছে আরও দুজনের। তারা হলেন: অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান (৪২) ও মাইকেল প্লাতিনি (৪১)। করিম বেনজেমা ৩৭, ডেভিড ত্রেজেগুয়েট ৩৪, কিলিয়ান এমবাপ্পে ৩১টি গোল করেছেন দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হয়ে।
এদিকে, পোল্যান্ডের বিপক্ষে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) আল থুমামা স্টেডিয়ামে শুরুতেই রাফায়েল ভারানের হেড যায় পোল্যান্ড গোলপোস্টের সামান্য ওপর দিয়ে। গোল মিস করে হাত চাপড়াতে চাপড়াতে রক্ষণভাগে ফেরেন এই ডিফেন্ডার। পর মুহূর্তে ফ্রান্সের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আক্রমণ চালায় পোল্যান্ড। কিন্তু ম্যাটি ক্যাশের শট যায় হুগো লরিসের হাত বরাবর।
১৩ মিনিটের মাথায় চুয়ামেনির শট ফিরিয়ে নায়করূপে আবির্ভূত হন ওজসিচ সেজেসনি। কিছুক্ষণ পর রক্ষণভাগে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে পোল্যান্ড। সেই বল পেয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন উসমান ডেম্বেলে। কিন্তু এবারও ব্যর্থ হয় তাদের প্রচেষ্টা। তিন মিনিট পর ফের আক্রমণে উঠেও নিরস বদনে ফিরতে হয় ফ্রান্সকে।
২৯ মিনিটে সবচেয়ে বড় সুযোগটি হাতছাড়া করে ফ্রান্স। এ সময় ডান প্রান্ত থেকে উসমান ডেম্বেলের ছুড়ে দেয়া বলে পোস্ট লক্ষ্য করে অলিভার জিরুদ পা লাগালেই গোল পেতে পারত তারা। কিন্তু জিরুদের সেই শট চলে যায় পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে। ৩৫ মিনিটে কাছের পোস্ট দিয়ে এমবাপ্পের শট ঠেকান সেজেসনি।
পোল্যান্ড ৩৮ মিনিটে টানা কয়েকটি শট নেয় ফ্রান্সের গোলবার লক্ষ্য করে। একবার উপামেকানো, একবার লরিস ও শেষবার রাফায়েল ভারানে দলকে বাঁচান। এরপর ম্যাচে গতি ফেরায় ফ্রান্স। সেই সুবাদে বিরতির ঠিক আগে গোলও পায় দিদিয়ের দেশামের শিষ্যরা। এ সময় কিলিয়ান এমবাপ্পের পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করেন সুযোগ হারানো জিরুদ।
Leave a Reply