এমপির সামনে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ পুলিশের লাঠিচার্জ

এমপির সামনে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ পুলিশের লাঠিচার্জ
এমপির সামনে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ পুলিশের লাঠিচার্জ

এমপির সামনে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ পুলিশের লাঠিচার্জ, শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর তাদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সংসদ সদস্যের সামনেই সংঘর্ষ এবং লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগের র্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

তারা প্রাথ‌মিক চি‌কিৎসা নিয়েছেন।সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর

সামনে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ।

এমপির সামনে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ পুলিশের লাঠিচার্জ

পরে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।এদিকে এ ঘটনায় কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ

অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে শিল্পকলা ও লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।জানা যায়,

গত ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও

সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেন। এতে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩৩ সদস্যের নাম প্রকাশ

করা হয়। এর পর থেকেই সদ্য ঘোষিত এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে পদবঞ্চিতরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।

প্রত্যক্ষদশীরা বলছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি নেয় আওয়ামী লীগ।

তারই অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে দুপুর ১২টার দিকে ফুল দিতে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার

সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছলে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে

লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থেকে সংসদ সদস্য লা‌ঠিচার্জ দেখেন। এ ধরনের এক‌টি ভি‌ডিও ইতিমধ্যে

ভাইরাল হয়েছে।জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা সাংবা‌দিকর জানান, শিল্পকলায় প্রবেশের সময় ছাদ থেকে তাদের

ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে অজ্ঞাত লোকজন। তাদের ইটপাটকেল নিক্ষেপের কারণে পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এমপির সামনে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ পুলিশের লাঠিচার্জ

পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে।নদীবন্দর থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবা‌দিকদের জানান, ছাত্রলীগের

কোনো নেতাকর্মী নদীবন্দরে যায়নি। আর উদ্ধার হওয়া দেশীয় অস্ত্র ছাত্রলীগের নয়।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান বলেন,

শিল্পকলা একাডেমির সামনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ গিয়ে সকলকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় একটি গ্রুপ

শিল্পকলা একাডেমিতে ঢোকে। শিল্পকলা একাডেমির দ্বিতীয় তলা থেকে পুলিশের গাড়িতে ইট ছুড়ে মারে। পুলিশ আশপাশের এলাকায়

অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*