
জন্মের পরপরই নিবন্ধনের উদ্যোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, জন্মের পরপরই নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। মা ও শিশু কল্যাণ
কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া শিশুদের ক্ষেত্রে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন সেখানে জন্ম নেওয়া
শিশুদের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্টদেরকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে প্রতি মাসে জেলার অন্তত ছয় শ শিশু জন্মের
পরই নিবন্ধনের আওতায় চলে আসবে।
জন্মের পরপরই নিবন্ধনের উদ্যোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রতিমাসে জেলা সদরসহ নয় উপজেলায় গড়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার শিশু জন্ম নেয়। এর মধ্যে
প্রাতিষ্ঠানিক অর্থাৎ হাসপাতাল, ক্লিনিক, স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে জন্ম নেয় প্রায় ৬৩ ভাগ শিশু। প্রসবের ব্যবস্থা আছে এমন ৬৩টি ইউনিয়ন
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে প্রতিমাসে গড়ে ছয় শ শিশু জন্ম নেয়। সেই হিসেবে নতুন উদ্যোগের ফলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জন্ম নেওয়া
শিশুদের মধ্যে চার ভাগের এক ভাগ শিশু জন্মের পরপরই নিবন্ধনের আওতায় চলে আসবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিভাগীয় একটি সভায় জানানো হয়
যে, জন্মনিবন্ধনের দিক থেকে ৬৪ জেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অবস্থান ৬১। এর পরই বিষয়টি আমলে নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন জেলা
প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। এরপর থেকেই নিবন্ধন বাড়তে থাকে।ওই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দু’টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ৬৩টি
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া শিশুদের তাৎক্ষণিক নিবন্ধন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই আলোকে কাজ শুরু
করে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ।
জেলা সমন্বয় কমিটির সভার সিদ্ধান্তের বরাত দিয়ে গত ৪ আগস্ট
জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মতিউর রহমান মাঠ পর্যায়ে চিঠি দেন। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সরকার জন্মনি
বন্ধনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এমতাবস্থায় জেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া
শিশুদের নিবন্ধন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিস অথবা ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট শাখার সঙ্গে সমন্বয় করে জন্মনিবন্ধন
নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া পরিবার কল্যাণ সহকারীদেরকে বাড়ি পরিদর্শনের সময় বাড়িতে জন্ম নেওয়া
জন্মের পরপরই নিবন্ধনের উদ্যোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
শিশু জন্মনিবন্ধন বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। ওই চিঠিতে সেবা কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া শিশুকে জন্মনিবন্ধন ব্যতিত ছাড়পত্র না দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
আজ রবিবার দুপুরে এ বিষয়ে কথা বলে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মতিউর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের
প্রতিষ্ঠানে শিশু জন্ম নেওয়ার পরই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বিষয়টি অবহিত করা হয়। জন্মনিবন্ধন করতে অভিভাবকদেরকে
সহযোগিতাও করা হচ্ছে। এতে করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জন্ম নেওয়া শিশুটি নিবন্ধনের আওতায় চলে আসবে। ’
Leave a Reply