জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পেলে, প্রার্থনায় বিশ্ব

ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। কেমোথেরাপিতে সাড়া মিলছে না। তাই তাকে প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটে নেয়া হয়েছে।

ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে। ফাইল ছবি

ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে।

ক্যানসারের সঙ্গে অনেক দিন ধরেই লড়াই করে যাচ্ছেন ৮২ বছর বয়সি পেলে। চিকিৎসার জন্য প্রতি মাসেই তাকে হাসপাতালে দৌড়াতে হয়। তবে গত ২৯ নভেম্বর নির্ধারিত তারিখের আগেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এবার সেখান থেকে স্থানান্তর করা হলো ‘এন্ড অব লাইফ প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটে’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন রোগীকে তখনই প্যালিয়েটিভ কেয়ারে নেয়া হয় যখন তার রোগ নিরাময় অযোগ্য কিন্তু তার চিকিৎসা করা হবে। সেই সময়ে মূলত তাকে শারীরিক ও মানসিক, আত্মিক ও সামাজিকভাবে সাপোর্ট দেয়া হয়।

এদিকে, ফুটবল সম্রাটের সুস্থতা কামনায় প্রার্থনায় বিশ্বজুড়ে ভক্ত-সমর্থকরা। সে তালিকায় আছেন সতীর্থ থেকে শুরু করে বর্তমান ফুটবলাররাও। পেলের জন্য প্রার্থনা জানিয়ে টুইট করেছেন তার সতীর্থ রিভালদো এবং ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পেরা।

ফুটবলের সবচেয়ে বড় মহাযজ্ঞ মঞ্চায়ন হচ্ছে। ফুটবল ইতিহাসের দুই গ্রেটের একজন দিয়েগো ম্যারাডোনা পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন বছর দুই আগে। পেলের ইচ্ছে ছিল কাতারে বসে খেলা উপভোগের। কিন্তু শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় সে ইচ্ছে পূরণ হয়নি।

ক্যামেরুনের বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচে পেলের জন্য প্রার্থনা জানানো হয়। ছবি রয়টার্সের।

৮২ বছর বয়সি পেলের কোলন টিউমার ধরা পড়ে ২০২১ সালে। সে বছরই সেপ্টেম্বরে অপারেশনের মাধ্যমে তার টিউমারটি বাদ দেয়া হয়। তারপর থেকে প্রতিমাসেই কেমোথেরাপি নিতে হচ্ছে তাকে। বয়সের ভারে পেলে এখন আর একা চলাচল করতে পারেন না। হুইলচেয়ারের সাহায্য নিয়ে চলাফেরা করতে হয় তাকে।

কোলন টিউমার ছাড়াও পেলে ভুগছেন আরও অনেক স্বাস্থ্য সমস্যায়। ২০১৯ সালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পেলের কিডনির পাথর অপসারণ করা হয়। গত জানুয়ারিতে পেলেকে নিয়ে দুঃসংবাদ জানিয়েছিল সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন। তার যকৃতে টিউমার ধরা পড়েছে এবং ফুসফুসেও আরেকটি টিউমার বেড়ে উঠছে। এ ছাড়াও হাঁটাচলার অসুবিধায় কোমরে অস্ত্রোপচারও করিয়েছেন পেলে।

সর্বকালের সেরা ফুটবলার পেলের প্রকৃত নাম এডসন অরান্তেস দো নাসিমেন্তো। ১৯৫৮ সালে ১৭ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপ জয় করা পেলে এরপর ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ জয় করেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*