মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছেন বিশ্বকাপ আয়োজক প্রধান হাসান আল-থাওয়াদি।

ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার পিয়ার্স মরগ্যানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ৪০০ থেকে ৫০০ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি। সোমবার (২৮ নভেম্বর) টকটিভিতে ওই সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়।
বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ কাতার ২০১০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের অনুমতি পায়। এরপর থেকেই বিশ্বকাপ ঘিরে দেশটিতে আকাশচুম্বী সব ভবন ও স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া সংস্কার চলে বিমানবন্দর এবং অন্যান্য বড় স্থাপনাতেও।
আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠী এবং সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, বিশাল এই নির্মাণ কর্মযজ্ঞ চলাকালে হাজার হাজার শ্রমিক মারা গেছেন। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে দাবি করে, কাতারে বিশ্বকাপ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিক মারা গেছেন।
তবে কাতার সরকার এই দাবিকে ‘আপত্তিকর ও উসকানিমূলক’ বলে অভিহিত করে এসেছে এতদিন। তারা দেশের সুনাম রক্ষার জন্য ‘আইনি’ পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছেও বলে জানায়।
পিয়ার্স মরগ্যানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ আয়োজক প্রধান হাসান আল-থাওয়াদি বলেন, ৪০০ থেকে ৫০০ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও জানান, মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। তবে একটি মৃত্যুও অনেক বড় ক্ষতি।
সিএনএন তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নভেম্বরে কাতার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিশ্বকাপ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজ করার সময় ৩ জন অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং কাজে না থাকা অবস্থায় মারা গেছেন ৩৭ জন।
কাতারসহ পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো কড়া সমালোচনা করে আসছে। যদিও কাতার দাবি করেছে, তারা তাদের শ্রম আইন সংস্কার করেছে।
Leave a Reply