বিশ্বকাপ ফুটবলের মাঝেই ক্রিকেট উত্তাপ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত। ঘরের মাঠের সুবিধা ও নিজ ভক্তদের সমর্থন সঙ্গে নিয়ে ৭ বছর পর ওয়ানডে সিরিজে ভারতের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্য টাইগারদের।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। রোববার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস ও গাজী টেলিভিশন।
ইনজুরির কারণে নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল ছিটকে পড়ায় ভারত সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস। লম্বা সময় পর আবারও গ্ল্যাভস হাতে নিচ্ছেন মুশি। আলাদা উইকেটকিপিং নিয়ে কাজ করেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ইনডোরের নেটে ব্যাটটা ঝালিয়ে নেন মুশফিক, ইয়াসির রাব্বী, বিজয়, শান্তরা। প্রথমবারের মতো শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে যোগ দেন সাকিব আল হাসান।
ম্যাচ-পূর্ব সম্মেলনে লিটন বলেন, ঘরের মাঠে খেলা আমাদের জন্য বড় একটি সুবিধা। আমরা যখন ঘরের মাঠে খেলি, সবসময় আমাদের লক্ষ্য থাকে সিরিজ জয় করা। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়।
তিনি আরও বলেন, অবশ্যই ভারত খুব ভালো দল। অনেক বিশ্বমানের খেলোয়াড় থাকার কারণে তারা শক্তিশালী। কিন্তু আমরা যদি আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারি তাহলে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। আমি মনে করি, আমাদেরও ব্যাটিং ইউনিট বেশ থিুত। এ ছাড়া ভালো বোলিং ও ফিল্ডিং ইউনিট আমাদের রয়েছে। ভারতকে হারাতে না পারার কোনো কারণ নেই। তবে এজন্য আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে।
সবশেষ ২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের পর ভারতের কাছে টানা পাঁচ ওয়ানডে ম্যাচ হেরেছে টিম টাইগার্স। এরমধ্যে ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ হেরেছিল বাংলাদেশ। যদিও এই ম্যাচগুলোতে ভারতকে হারানোর সুযোগ তৈরি করেছিল টাইগাররা। কিন্তু কখনো কখনও বাজে ফিল্ডিং বা ব্যাটিং ব্যর্থতায় নিজেদের ভুলেই ম্যাচ হেরেছে টিম টাইগার্স। এমনকি গত মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লিটন দাসের বিধ্বংসী ইনিংসে ভারতকে হারানোর সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ।
এদিকে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, এই সিরিজে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। যতবারই আমরা তাদের সঙ্গে খেলেছি, ততবারই দারুণ লড়াই হয়েছে। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ ছিল। আমার স্মরণ আছে ২০১৫ সালে এখানে আমরা সিরিজ হেরেছিলাম। আমরা জানি গত কয়েক বছরে অনেক উন্নতি করেছে তারা। এজন্য জিততে হলে আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। সিরিজটি আমাদের জন্য সহজ হবে না।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারত ৩৬ বার মুখোমুখি হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে পাঁচটিতে। ভারতের জয় ৩০টিতে। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
বাংলাদেশ দল:
লিটন দাস (অধিনায়ক), আনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলি চৌধুরি, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, নাসুম আহমেদ, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও নুরুল হাসান সোহান।
ভারত দল:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), লোকেশ রাহুল (সহ-অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার, শ্রেয়াস আইয়ার, রাহুল ত্রিপাঠি, রিশভ পন্ত (উইকেটরক্ষক), ইশান কিষাণ (উইকেটরক্ষক), রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, শারদুল ঠাকুর, উমরান মালিক, মোহাম্মদ সিরাজ, দীপক চাহার ও যশ ঢুল।
Leave a Reply