মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষেও উতরে গেল জলবায়ু বিল

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষেও উতরে গেল জলবায়ু বিল
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষেও উতরে গেল জলবায়ু বিল

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষেও উতরে গেল জলবায়ু বিল, মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাস হওয়া জলবায়ুসংক্রান্ত বিলটি গত শুক্রবার

নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদেও পাস হয়েছে। প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের জন্য ‘ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট’ শীর্ষক বিলটি হোয়াইট হাউসে পাঠানো হবে।

আগামী সপ্তাহেই বিলটি আইনে পরিণত হতে পারে।এর মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড়

বিনিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদন পেল।

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষেও উতরে গেল জলবায়ু বিল

এই প্রস্তাবে ৩৭ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ ৪০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

করা হয়েছে।এর আগে গত রবিবার ৫১-৫০ ভোটে উচ্চকক্ষ সিনেটে বিলটি পাস হয়। বিলের পক্ষে-বিপক্ষে ৫০টি করে ভোট পড়ে। শেষ পর্যন্ত

ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ভোটে নির্ধারিত হয় বিলটির ভাগ্য। গত শুক্রবার ২২০-২০৭ ভোটে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাস হয়।

বিল পাসের পর পরিবেশবাদীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ

করেছেন। এদিকে রক্ষণশীল আইন প্রণেতারা বিলটির সমালোচনা করে বলেছেন, এটি অযথা খরচ। কোনো রিপাবলিকান আইন প্রণেতা ওই বিলে

সমর্থন দেননি।প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের পর এক টুইট বার্তায় বাইডেন বলেন, ‘আজ আমেরিকার মানুষের জয় হয়েছে। বিশেষ সুবিধাভোগীদের

পরাজয় হয়েছে। ’মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘প্রতিনিধি পরিষদে ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট পাসের ফলে মার্কিন পরিবারগুলোর ওষুধের খরচ,

স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জ্বালানির ব্যয় কমবে বিলটিকে

আইনে পরিণত করতে আমি আগামী সপ্তাহে স্বাক্ষর করার প্রত্যাশা করছি। ’ বলা দরকার, ওই বিলে স্বাস্থ্যসেবা ও আর্থিক সহায়তার বিষয়ও রয়েছে।

চলতি বছরের নভেম্বরে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে এই বিল পাস হওয়াকে বাইডেন প্রশাসনের বড় জয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

‘ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্টে’ স্বাস্থ্য সুরক্ষা খাতের জন্য ছয় হাজার ৪০০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর ফলে ওষুধের দাম অনেক কমবে।

বর্তমানে অনেক ধনী দেশের তুলনায় ১০ গুণ বেশি দাম দিয়ে ওষুধ কিনতে হয় মার্কিন নাগরিকদের।

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষেও উতরে গেল জলবায়ু বিল

বিলটিতে করের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফাঁকফোকর বন্ধ করে বাড়ানো হবে করপোরেট কর। যেসব কম্পানি ১০০ কোটি ডলার বা এর চেয়ে বেশি লাভ করে

থাকে তাদের জন্য নতুন করে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে কর থেকে আগামী ১০ বছরে আনুমানিক

দুই লাখ ৫৮ হাজার কোটি ডলার আয় করবে যুক্তরাষ্ট্র

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*