আর মাত্র ৩ ম্যাচে জয় দরকার আর্জেন্টিনার। তাহলেই অধরা সোনালি ট্রফিতে চুমু এঁকে দিতে পারবেন লিওনেল মেসি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে আর্জেন্টিনা। দলের জয়ে প্রথম গোলটি করে ক্যারিয়ারের হাজারতম ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখলেন লা পুলগা। সেই সঙ্গে ছাড়িয়ে গেলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচের আগে দারুণ এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৩৫ বছর বয়সী মেসি। ৯৯৯ ম্যাচ খেলে অপেক্ষা করছিলেন ১০০০তম ম্যাচে মাঠে নামার। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কিকঅফের সঙ্গে সঙ্গে মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন হাজার ম্যাচের। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেয়া গোলটি করে উপলক্ষটা স্মরণীয় করে রাখেন তিনি।
এ গোলে অবশ্য আরও একটি রেকর্ড ছুঁয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনার পক্ষে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ গোল করার রেকর্ড এখন মেসির। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গোলটি করে ছাড়িয়ে গেছেন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে। আগের ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গোল করে ম্যারাডোনাকে ছুঁয়েছিলেন মেসি। ৮ গোল নিয়ে আর্জেন্টিনার পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড ভাগাভাগি করছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও গুইলের্মো স্ত্যাবিল।
ম্যারাডোনা ১৯৮২ বিশ্বকাপে ২ গোল করার পর ১৯৮৬ বিশ্বকাপে করেন ৫ গোল। ১৯৯০ বিশ্বকাপে দল ফাইনালে উঠলেও কোন গোল পাননি ডিয়েগো। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ডোপ টেস্টে পজিটিভ ধরা পড়ে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে ২ ম্যাচে করেন আরও এক গোল। অন্যদিকে, ১৯৩০ বিশ্বকাপে মাত্র ৪ ম্যাচ খেলেই ৮ গোল করেন স্ত্যাবিল।
২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ ষোলোয় ফ্রান্সের কাছে হেরে যায় আর্জেন্টিনা। তার আগেই ১ গোল করেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপেও চার ম্যাচে করেছেন ৩ গোল।
মেসির সামনে এখন সুযোগ আর্জেন্টিনার জার্সিতে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে একটি গোল করলেই তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন ১০ গোল করা গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে। ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২ বিশ্বকাপ মিলিয়ে ১২ ম্যাচ খেলে ১০ গোল করেছিলেন বাতিস্তুতা। ফাইনাল পর্যন্ত দলকে তুলতে পারলে মেসি আরও ৩ ম্যাচ পাচ্ছেন নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিতে।
Leave a Reply