
লঘুচাপে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি, লঘুচাপের প্রভাব ও অতিবর্ষণে পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারে পানি
বৃদ্ধি পেয়ে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে আউশ ধান ও আমনের বীজতলা পানির নিচে
তলিয়ে গেছে। এতে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।জানা গেছে, লঘুচাপের প্রভাব ও অতিবর্ষণে পায়রা (বুড়িশ্বর)
নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫৯ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি
লঘুচাপে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
পেয়ে আমতলী পৌর শহরসহ নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরেও বসবাসরত মানুষের
বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় অতিকষ্টে জীবন যাপন করছে তারা। অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
আমতলী ও তালতলী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের রোপণকৃত আউশ ধানের ক্ষেত ও আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ৩৬
হাজার ৩০০ হেক্টর আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে থাকায় চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে পায়রা (বুড়িশ্বর) ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে
তলিয়ে গেছে। ফলে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।আমতলীর আমুয়ারচরের বাসিন্দা ছকিনা বেগম বলেন, ‘জোয়ারের পানিতে মোগো ঘর তলাইয়া গেছে।
দুপুরে রান্না পর্যন্ত করতে পারিনি। পোলাপাইন লইয়া না খাইয়া রইছি। আবার রাইতে যদি পানি বাড়ে তাইলে এই বৃষ্টির মধ্যে কই যামু?’
তালতলীর জয়ালভাঙ্গা এলাকার জেলে সোবাহান মাঝি জানান, জোয়ারের পানিতে বসতঘর তলিয়ে গেছে। টানা বৃষ্টির মধ্যেও ছাপড়া
দিয়ে উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন তারা।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্ম কর্তকর্তা সি এম রেজাউল করিম
মুঠোফোনে বলেন, পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় উপজেলার সর্বত্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে কৃষকের আউশ ধান ও আমনের বীজতলা
পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। দ্রুত পানি নেমে গেলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। তবে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি আরো বৃদ্ধি পেলে ফসলের ক্ষতির
আশঙ্কা রয়েছে।বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম পান্না মুঠোফোনে বলেন, পায়রা নদীতে স্বাভাবিক
জোয়ারের চেয়ে ৫৯ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই উপজেলার চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
লঘুচাপে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই পক্ষের লোকজন
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ফখরুলের বাবা হাবিবুর রহমান ও চাচা সোলায়মান হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা
যান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আরো ছয়-সাতজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের জামালপুর
জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Leave a Reply