শোক দিবসে পতাকা টাঙাতে গিয়ে দুই ভাইয়ের করুণ মৃত্যু, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা টাঙাতে গিয়ে
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সহোদরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা সদরে খাদ্যগুদামের সামনে
এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন নগরহাটির মৃত নেপাল কর্মকারের ছেলে হৃদয় কর্মকার (২৫) ও তার ছোট ভাই বিজয় কর্মকার (১৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যগুদামের কাছেই দুই ভাইয়ের একটি ওয়ার্কশপ রয়েছে।
শোক দিবসে পতাকা টাঙাতে গিয়ে দুই ভাইয়ের করুণ মৃত্যু
ওয়ার্কশপের পেছনেই তাদের বাসা। দুই ভাই মিলে ওয়ার্কশপটি চালাতেন। পরিবারটি তাদের ওপরই নির্ভরশীল ছিল। ঘুম থেকে উঠে আজ সকাল
সাড়ে ৮টার দিকে জাতীয় শোক দিবসের পতাকা উত্তোলন করতে ওয়ার্কশপে যান তারা। একটি লোহার পাইপে পতাকা বেঁধে ওঠাতে গেলে সেই
পাইপটি বিদ্যুতের ১১ কেভি লাইনের ওপরে গিয়ে পড়ে। এতে দুজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত
ঘোষণা করেন।খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমদ তৌফিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা আক্তার ও ইটনা থানার ওসি
মো. কামরুল ইসলাম মোল্লা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। একই সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়া দুই ভাইয়ের মরদেহের শেষকৃত্য করতে জেলা
প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছে নিহতদের পরিবার
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমি নিহতদের পরিবারের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে
ইটনার ইউএনওকে নির্দেশ দিয়েছি। তা ছাড়া দুই ভাইয়ের মরদেহ সৎকারের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার
টাকা দেওয়া হচ্ছে। একটি লোহার পাইপে পতাকা বেঁধে ওঠাতে গেলে সেই পাইপটি বিদ্যুতের ১১ কেভি লাইনের ওপরে গিয়ে পড়ে।
শোক দিবসে পতাকা টাঙাতে গিয়ে দুই ভাইয়ের করুণ মৃত্যু
এতে দুজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমদ তৌফিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা আক্তার ও ইটনা থানার ওসি মো. কামরুল
ইসলাম মোল্লা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। একই সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
Leave a Reply