মাদারীপুরের কালকিনিতে কৃষি সমাবেশে স্থানীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতেই ককটেল বিস্ফোরণ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে আয়োজিত কৃষি সমাবেশ বিঘ্নিত হলে তা সংক্ষিপ্ত করা হয়।
আহতরা হলেন- অহিদুল ইসলাম (৩৫), আরিফ খান (৩০), নিজাম খান (৪৫), কায়উম সরদার (৪০) ও আরসু সরদার (৫৫)। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে প্রান্তিক চাষিদের নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকেলে সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আসেন মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, কালকিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিংকি সাহা, থানার ওসি (তদন্ত) মারগুব তৌহিদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আসার পর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারী ও কালকিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফজাল মোল্লাও আসেন। পরে তাদের কর্মী-সমর্থকরা দলীয় ব্যানার-ফেস্টুন হাতে কৃষি সমাবেশে আসতে থাকেন। সমাবেশস্থলে আগে প্রবেশ করা নিয়ে উভয়ের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতেই হাতাহাতি হয়। এ সময় সমাবেশস্থলে ও তার আশপাশে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় অন্তত ১০ জন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় একে অপরকেই দুষছেন অভিযুক্তরা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আফজাল মোল্লা বলেন, ফজলুল হক বেপারীর লোকজন অতর্কিত এই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার বিচার চাই।
ফজলুল হক বেপারী বলেন, আমি কিংবা আমার লোকজন কোনো ধরনের হামলা কিংবা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়নি। আমাকে রাজনৈতিকভাবে দুষছেন আফজাল ও তার লোকজন।
মাদারীপুরের কালকিনি থানার ওসি (তদন্ত) মারগুব তৌহিদ বলেন, কৃষি সমাবেশের কিছুটা দুরে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। দু’পক্ষের উত্তেজনা দেখা দিলে সংসদ সদস্যের আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক বলেন, সমাবেশস্থলে রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসায় উত্তেজনা দেখা দেয়। মূলত স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কিন্তু সমাবেশের কোনো সমস্যা হয়নি।
মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাইরের লোকের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সমাবেশের কোনো সমস্যা হয়নি।
Leave a Reply